আপডেটের সময়ঃ জুন ২৮, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকৃতির রূপ বৈচিত্রে ভরপুর অনিন্দ্য শহর রাঙামাটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ঈদুল আযহার সরকারি ছুটি শেষ হলেও ঈদের আমেজ এখনো কাটছে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা তাদের পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে প্রশান্তির ছোঁয়া নিতে ভিড় করছেন হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটিতে।
পবিত্র ঈদের ছুটির অবসরে নগর জীবনের কোলাহল থেকে খানিকটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে ইট পাথরের শহর ছেড়ে হ্রদ পাহাড়ের শহরে ভ্রমনপিপাসু পর্যটকরা। দেশের বিভিন্ন্ স্থান থেকে আসা পর্যটক অবসরে ছুটে যাচ্ছেন রাঙামাটিতে। পর্যটকদের জন্য মনোমুগ্ধকর কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ছাড়াও পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকায় হ্রদের ধারে দুই পাহাড়ের মাঝখানে স্থাপিত আর্কষনীয় ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা ,পুলিশ পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, বার্গী লেক ভ্যালী, রাজবন বিহার,কাপ্তাই নিসর্গ পড হাউজ, বাঘাইছড়ির সাজেক কিংবা আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়ক এর অপরুপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে আসছেন টুরিষ্টরা।
গত ৩ দিনে রাঙামাটিতে প্রায় ১০ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, সাজেক, সুবলং ঝরণায় স্বাচ্ছন্দে ঘুরতে পারছেন তেমনি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন।
পর্যটকরা বলছেন, প্রকৃতির এমন রূপ দেখে দেখে তাদের তৃষ্ণা মিটে না। তাইতো ছুটি পেলে বারবার ছুটে আসেন মায়াবী রূপের এ শহরে।
এদিকে, ঢাকার গাজীপুর থেকে রাঙামাটি পযটনের ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে আসা টুরিষ্ট রবিউল বলেন, রাঙামাটির মনোরম দৃশ্য খুবই সু্ন্দর। কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পাক, শুভলং ঝরনা প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো খুবই ভালোে লেগেছে আমার কাছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ৫০-৭০ ভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ সংখ্যা আরও বাড়বে, ব্যবসাও ভাল হবে।
চট্টগ্রাম থেকে পরিবার নিয়ে হ্রদ পাহাড়ের শহর বেড়াতে আসা টুরিষ্ট দ্বীপ চৌধুরী বলেন, আমার দৃৃষ্টিতে দেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকার চেয়ে রাঙামাটি অনেক সুন্দর। এখানকার কাপ্তাই হ্রদ, শুভলং ঝর্ণা,আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়কের মনোরম দৃশ্যগুলো দেখলে আমাকে খুবই বিমোহিত করে তুলে।
পর্যটক রাফসান আহমেদ বলেন, রাঙামাটি পর্যটনকে আরো একটু ঢেলে সাজানো প্রয়োজন আছে। এখানে ঝুলন্ত সেতু ছাড়া তেমন কিছু দেখার নেই। তবে, রাঙামাটির আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়কে নতুন সংযোজন লাভ পয়েন্ট আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই সড়কে পাশে কাপ্তাই হ্রদের মনোরম দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।
এদিকে, সাজেকের কুঁড়েঘর রিসোটের ম্যানেজার মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, আজকে সাজেকে টুরিষ্টদের প্রচুর সমাগম হয়েছে। তিনি বলেন, গত ২ দিনের চেয়ে আজকে প্রায় ৫ হাজার টুরিষ্ট সাজেক ভ্রমণ করছেন। আজকে সাজেকের রিসোর্ট গুলোতে শতভাগ বুকিং আছে।
কাপ্তাই নিসর্গ পড হাউসের স্বত্তাধিকারী মো: নাসির উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পড হাউসে ঈদের ২ দিন আগে থেকে আগামী ২২ জুন শনিবার পর্যন্ত সবকটি রুম বুকিং রয়েছে। কাপ্তাইয়ে প্রচুর টুরিষ্ট অাসছেন এই ঈদের ছুটিতে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইকবাল হোসেন বলেন, গত তিনদিন রাঙামাটিতে প্রচুর টুরিস্ট এসেছে। আমাদের মোটেলে ৭০ ভাগ বুকিং আছে। আশা করছি আগামী দিনগুলোতেও রাঙামাটিতে টুরিষ্টদের ভালো সমাগম হবে।
রাঙামাটির এ নয়নাভিরাম স্পট সত্যিই যেনো পর্যটককে কাছে টানে । শিহরিত করে তোলে স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের জলে নৌ-বিহারের মতো রোমাঞ্চকর নৌ-ভ্রমন।