‘বন্যপ্রাণী বাঁচাতে হলে পরিবেশ ও আবাসস্থল ঠিক রাখতে হবে’

বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন বিভাগের র‌্যালী

পাহাড় নিউজ ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ জুলাই ১২, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বন্যপ্রাণীর পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগানো দরকার এবং বন্যপ্রাণী সহায়ক মূলক গাছগুলো রোপন করা দরকার। বন্যপ্রাণী বাঁচাতে হলে বন্যপ্রাণীর পরিবেশ এবং আবাসস্থল ঠিক রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) সকালে রাঙামাটি বন বিভাগের উদ্যোগে বন্যপ্রাণী রক্ষায় র‌্যালি শেষে এক পথসভায় ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন,রাঙামাটি শহরের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বন্যপ্রাণীর বিচরণ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। তার কারণ হলো, ঐতিহ্যগতভাবে স্থানীয় পাহাড়ি লোকজন তাদের মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য তারা কিন্তু আসলেই বন্যপ্রাণী গুলো ধরে,মারে এবং তারা এটি ভক্ষণ করে। এটি কিন্তু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুসারে এটি কিন্তু সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এটি অপরাধ। এই অপরাধের বিষয়ে মানুষ কিন্তু বেশি একটা জানে না। এবিষয়ে নিয়ে খুব একটা প্রচারও হয়না। বন্যপ্রাণী না ধরার জন্য এবং এদের পরিবেশ ও আবাসস্থল তৈরি করার জন্য সারাদেশে প্রচার করা হচ্ছে এবং মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের প্রকৃতি থেকে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ইতিমধ্যে বিলুপ্তি হয়ে গেছে। সেটি প্রকৃতিতে দেখা যায় না এবং বন্য পরিবেশেও দেখা যায় না। এখন যেসব বন্যপ্রাণী অবশিষ্টি আছে,সেগুলোর প্রতি সচেতন না হলে ঐগুলো বিলুপ্তি হয়ে যাবে। বিশেষ করে বনমোরগ, মায়া হরিণ ইত্যাদি এসব বন্যপ্রাণী রক্ষা করার জন্য রাঙামাটি বনবিভাগ শহরের বিভিন্ন বাজারে অভিযান এবং প্রচারণা চালিয়ে যাবে।

এসময় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য (পাচার,ধরা,মারা, বিক্রয় ও বিপণন প্রতিরোধ) পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক গঙ্গাপ্রসাদ চাকমা, ইউএসএফ বন বিভাগের সরকারি বন সংরক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তরবন বিভাগের সরকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র,পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বন সংরক্ষক মোঃ মাসুম, রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হামিদ, ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ সিরাজ, এহিয়া হোসেন, খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ প্রমূখ।
এর আগে বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন বিভাগ রাঙামাটি অঞ্চল এর উদ্যেগে একটি র‌্যালি বের করা হয়। এটি শহরের বনরূপা বাজার ঘুরে বন বিভাগের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।